অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : চাঁদপুর জেলায় শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় দুই যুবকের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদ- এবং অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদন্ড দিয়েছে আদালত।
সোমবার বিকেল ৪টায় চাঁদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ আব্দুল হান্নান এ রায় দেন।
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার বড় হায়াতপুর গ্রামের জান্নাতুন নাঈম মিশু (১৫) নামে এক শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে নুর আলম (২৬) ও সজীব হোসেন (১৯) নামে ২ যুবককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদ- এবং অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
এছাড়াও বিচারক আসামীদের ২০১/৩৪ ধারার অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় ৭ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। উভয়ের সাজা একসাথে চলমান থাকবে আদেশে বলা হয়।
হত্যা কান্ডের শিকার শিশু জান্নাতুল নাঈম মিশু কচুয়া উপজেলার বড় হায়াতপুর গ্রামের প্রবাসী মো. আবু হানিফের মেয়ে।
কারাদ-প্রাপ্ত আসামী নুর আলম বড় হায়াতপুর গ্রামের মনির হোসেনের ছেলে এবং সজীব হোসেন জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার গাব্দেরগাঁও গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে শিশু জান্নাতুন নাঈম মিশু বাড়ির পাশে নিজেদের ছাগলের জন্য ঘাস কাটতে যান। সেখানে উভয় আসামী শিশুটিকে প্রথমে ধর্ষণ এবং পরে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় শিশুর মা ফাতেমা বেগম ৩ আগস্ট কচুয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি তদন্ত করেন কচুয়া থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মকবুল হোসেন।
তদন্ত শেষে তিনি একই বছর ২৯ সেপ্টেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নারী শিশু আদালতের সরকারি কৌশলী শামসুল ইসলাম মন্টু বলেন, মামলাটি ৪ বছর চলাকালীন অবস্থায় আদালত ১৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ ও নথিপত্র পর্যালোচনা করে আসামীদের অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন আব্দুল্লাহ আল মামুন ও রিয়াদ হোসেন মুনতাসির। আসামীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন মাসুম হোসেন ভূঁইয়া।
Leave a Reply